স্টারকন্যা হয়েও তাঁদের কোনো ফাঁয়দা হয়নি!
নেপোটিজম বা স্বজনপ্রীতি, সোজা কথায় পরিবারতন্ত্র – এসব বিয়ে বলিউডে তর্ক-বিতর্কের শেষ নেই। সব সময়ই স্টার কিডদের আকাশ সমান চাপ নিয়ে আসতে হয় ইন্ডাস্ট্রিতে। তাঁদের দিকে পুরো ইন্ডাস্ট্রি ও ভক্ততা তাকিয়ে থাকে। অপেক্ষায় থাকে, পূর্বসূরীর সাফল্যকে ছাড়িয়ে যাবে তাঁরা।
কিন্তু, সাফল্য তো নির্ভর করে প্রতিভা, পরিশ্রম আর ভাগ্যের ওপর। এর কোনো একটা বাদ পড়লেই আর হয় না। এই স্টার কন্যাদের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই ঘটেছে। মা যতই নিজের ক্যারিয়ারে সাফল্য পান না কেন সেটা কন্যাদের জীবনে কোনো ফায়দা এনে দিতে পারেনি।
- রিয়া সেন
বাংলা সিনেমা, ও বলিউডের সফল অভিনেত্রী মুনমুন সেনের মেয়ে, এর চেয়েও বড় ব্যাপার হল তাঁর নানী হলেন স্বয়ং সুচিত্রা সেন। তারপরও রিয়া সেন স্রেফ একটা আক্ষেপের নাম। এমনকি বোন রাইমা সেনও তাঁর চেয়ে অনেক বেশি সফল।
- তানিশা মুখার্জী
স্বনামধন্য, প্রবীন অভিনেত্রী তানুজার মেয়ে। কিংবদন্তি কাজলের বোন। এর চেয়েও বড় ব্যাপার হল তানিশার অভিষেক হয়েছিল যশ রাজ ফিল্মসের ব্যানারে, ‘নিল অ্যান্ড নিকি’ সিনেমা দিয়ে। এরপর ‘বিগ বস’-এ যান। সেখানেও কোনো সাফল্য নেই।
- সোহা আলী খান
পরিবারের সবাই কম বেশি বড় তারকা। বাবা টাইগার পতৌদি ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। দাদা ইফতিখার আলী খান পতৌদি ইংল্যান্ড ও ভারত – দু’টি ভিন্ন জাতীয় দলে খেলেছেন। মা শর্মিলা ঠাকুর হলেন বাংলা সিনেমা ও বলিউডের কিংবদন্তিতুল্য অভিনেত্রী। ভাই, বলিউড তারকা সাইফ আলী খান। সেদিক থেকে সোহার ক্যারিয়ারকে একদম সাদামাটাই বলা চলে।
- এশা দেওল
বাবা ধর্মেন্দ্র ও মা হেমা মালিনি হলে বলিউডে টিকে থাকতে বাড়তি কিছু না করলেও চলে। তবে, এশা দেওলের গল্পটা এত সহজ নয়। বাবা-মার মত বড় তারকা হতে পারেননি তিনি। বড় কিছু ছবিতে কাজ করেও ফ্লপ নায়িক হিসেবেই পরিচিতি পান তিনি। তাই, বলিউড ছেড়ে বিয়ে করে ঘর-সংসারে মনোযোগী হয়েছেন তিনি।
- টুইঙ্কল খান্না
একটা সময় বেশ পরিচিত অভিনেত্রী ছিলেন টুইঙ্কল খান্না। তবে,মা ডিম্পল কাপাডিয়া কিংবা বাবা রাজেশ খান্নার মত কিংবদন্তিতুল্য ছিলেন না। অক্ষয় কুমারকে বিয়ে পর তো ছেড়েই দিলেন বলিউড। তার বোন রিংকি খান্নাও মায়ের কাতারে পৌঁছাতে পারেননি।
- প্রতিভা সিনহা
মা মালা সিনহা ছিলেন বলিউডের হিট অভিনেত্রী। প্রতিভার অভিষেক হয় ১৯৯২ সালে ‘মেহবুব মেরে মেহবুব’ সিনেমা দিয়ে। সেটা ফ্লপ হয়। এর পর আরো যে কটা সিনেমা করেন সবই ফ্লপ।