বিপিএলের সেরা একাদশ
আমার চোখে এবারের বিপিএল একাদশ –
১. তামিম ইকবাল – কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স
২. সুনিল নারাইন – ঢাকা ডায়নামাইটস
৩. রাইলি রুশো – রংপুর রাইডার্স
৪. এবি ডি ভিলিয়ার্স – রংপুর রাইডার্স
৫. মুশফিকুর রহিম – চিটাগং ভাইকিংস
৬. শামসুর রহমান – কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স
৭. সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক) – ঢাকা ডায়নামাইটস
৮. রবি ফ্রাইলিঙ্ক – চিটাগং ভাইকিংস
৯. মাশরাফি বিন মুর্তজা – রংপুর রাইডার্স
১০. তাসকিন আহমেদ – সিলেট সিক্সার্স
১১. রুবেল হোসেন – ঢাকা ডায়নামাইটস
দ্বাদশ (শুধু ফিল্ডিংয়ের জন্য) : আফিফ হোসেন – সিলেট সিক্সার্স
________________
টকিং পয়েন্ট যা হতে পারে, সেসবের ব্যখ্যা –
রনি তালকদার কিংবা ইয়াসির আলি চৌধুরি রাব্বিকে না রাখতে পারায় আমারও খারাপ লাগছে। কিন্তু টপ অর্ডারে ওদেরকে রাখার জায়গা পাইনি। আর ছয়-সাতে ওদের দুজনকে রাখার মানে দেখিনি।
ছয় নম্বরে কেন শামসুর রহমান? আমি ভেবেছি কার্যকর পারফরম্যান্সের কথা। দলের জয়ে অবদানের কথা। পরিস্থিতির বিচারে বেশি প্রভাব রাখার কথা। সে রান খুব বেশি করেনি। কিন্তু পরিস্থিতির দাবি মিটিয়েছে। ব্যাটিং অর্ডারে থিতু জায়গা ছিল না, কিন্তু যেখানেই দল চেয়েছে, সে পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলেছে।
সিলেটের বিপক্ষে ছোটো লক্ষ্য তাড়ায় ৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়েছিল দল। তিনে নেমে শামসুর অপরাজিত ৩৪ করে দলের জয় নিয়ে ফিরেছেন। ঢাকার বিপক্ষে ৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়েছিল দল। শামসুর চারে নেমে ৩৫ বলে ৪৮ করে বদলে দিয়েছেন মোমেন্টাম।
খুলনার বিপক্ষে নেমেছিলেন সাতে। শেষের দাবি মিটিয়েছেন ১৫ বলে অপরাজিত ২৮ রান করে। চিটাগংয়ের বিপক্ষে ১১৭ রান তাড়ায় কুমিল্লার শুরুটা ছিল খুব মন্থর। তিনে নেমে শামসুর ২২ বলে ৩৬ করে আবার বদলে দিয়েছেন চিত্র। আর কোয়ালিফায়ারে চারে নেমে ১৫ বলে ৩৪, এবারও ফিরেছেন দলের জয় সঙ্গে নিয়ে।
৫ টি ম্যাচে পারফরম্যান্স, ৫টিতে জয়। ছাপ রাখা পারফরম্যান্সের জন্য বেছে নিয়েছি শামসুরকে।
তিন বিদেশী নারাইন, রুশো ও এবিকে নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কথা নয়। কেন ফ্রাইলিঙ্ক, কেন নয় রাসেল, সেই ব্যাখ্যা দিচ্ছি। যে জায়গাটায় এই বিদেশী ক্রিকেটার নিয়েছি, সেখানে আমি বোলিং প্রধান অলরাউন্ডার চেয়েছি। বোলিংয়ে কে ভালো করেছে, সেটিকে প্রাধান্য দিয়েছি। রাসেলের চেয়ে এবার ফ্রাইলিঙ্কের পারফরম্যান্স আমার ভালো মনে হয়েছে।
রাসেলের ১৫ ম্যাচে ১৪ উইকেট, ফ্রাইলিঙ্কের ৮ ম্যাচে ১২ (দুটি ম্যাচে ইনজুরির জন্য বোলিং শেষ করতে পারেননি)। ওভারপ্রতি রানে দুইজন কাছাকাছিই, তবে বোলিং গড় ও স্ট্রাইক রেট ফ্রাইলিঙ্কের অনেক ভালো। এসবের বাইরেও ফ্রাইলিঙ্কের সুইং করানোসহ বোলিং স্কিল ছিল রাসেলের চেয়ে ভালো।
ব্যাটিংয়েও সীমিত সুযোগে ফ্রাইলিঙ্ক দারুণ করেছেন। ব্যাটিং গড় ও স্ট্রাইক রেট রাসেলের চেয়ে ভালো। ওভারঅল ইমপ্যাক্টও রাসেলের চেয়ে বেশি ছিল বলে আমার মনে হয়েছে।
আমার অধিনায়ক সাকিব। ঢাকা মাঝপথে পথ হারিয়েছিল। সেখান থেকে যেভাবে ফিরেছে, শেষ দিকে যতটা সম্পৃক্ত থেকে, ট্যাকটিকস, শরীরী ভাষা ও আগ্রাসী নেতৃত্বে যেভাবে ঢাকাকে ফাইনালে তুলেছেন, সেটি আমার কাছে দারুণ মনে হয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক দলে জায়গা দাবি করতে পারছেন না। অফিসিয়ালি অধিনায়ক না হলেও, আমরা জানি, মাঠের ভেতরে-বাইরে তামিম কতটা সম্পৃক্ত ছিলেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণে কতটা ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু অফিসিয়ালি যিনি অধিনায় ছিলেন না, তাকে অফিসিয়ালি আমিও অধিনায়ক করতে পারছি না। তামিম নিজেই সবসময় বলেন, আড়ালে থেকে কিংবা সহ-অধিনায়কের দায়িত্বেই তিনি বেশি স্বস্তি বোধ করেন, উপভোগ করেন। আমার দলেও তা সেই দায়িত্বই থাকল!
– ফেসবুক পেজ থেকে