ফেলুদা ফেরত ও ‘অবশেষে’ টোটা রায় চৌধুরী
অবশেষে টোটা রায় চৌধুরী!
অবশেষে ফেলুদা মানে প্রদোষ চন্দ্র মিত্র হচ্ছেন টোটা। এটা অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিলো।
সব্যসাচী চক্রবর্তী যখন বুড়ো হতে শুরু করলেন, তখনই টোটাকে বেছে নেওয়া উচিত ছিলো। ২০০৮ সালে টিনটোরেটোর যীশুর সময় থেকে টোটাকে নেক্সট ফেলুদা হিসেবে বেস্ট মনে করি। সে এই চরিত্রে তুখোড় হতে পারে, তার প্রমাণ সে দিয়েছে। শুধু আমি নই, স্বয়ং সব্যসাচীও সেই সময় নিজের উত্তরসূরী হিসেবে পছন্দ করতেন টোটাকেই।
আরো পড়ুন
- সত্যজিৎ রায়ের ভোজনবিলাস ও ফেলুদা
- আহমেদ রুবেল ও ফেলুদা: মেড ইন বাংলাদেশ
- জটায়ু এবং মগনলাল মেঘরাজ
- সত্যজিৎ রায়: উপমহাদেশীয় সিনেমার গডফাদার
- গোয়েন্দা গল্প ও টলিউড: বেটার লাভ স্টোরি দ্যান অ্যানিথিং
‘নেক্সট’ ফেলুদা হিসেবে সৃজিতের হাতে পছন্দ করার অপশন ছিলো – টোটা, আবীর চট্টোপাধ্যায়, অনির্বান ভট্টাচার্য ও পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।
এর মধ্যে আবীর ওভার ইউসড। কোনো সন্দেহ নেই আবীরের চেহারার মধ্যে ফেলুদা হওয়ার গুন আছে। তবে সে যাকে বলে দারুন পারফরম; সেটা বাদশাহী আংটিতে করতে পারেনি। আর সবচেয়ে বড় কথা, সে ব্যোমকেশসহ আরও অনেক গোয়েন্দা চরিত্র করে বেড়াচ্ছে। ফলে তাঁকে ফেলুদা করলে ডাইমেনশন নষ্ট হয়।
অনির্বানের চেহারায় ফেলুদার ধারালো ব্যাপারটা আছে খুব কম। তার ওপর তিনিও ওয়েবে ব্যোমকেশের চরিত্র করে ফেলেছেন।
পরমব্রত ফেলুদা হিসেবে একেবারেই ফ্লপ বলে আমার মনে হলো। সে ভালো পরিচালক, আমি তাঁর অভিনয়ের অন্ধ ভক্ত। কিন্তু হি ইজ নট ফেলুদা।
বাকী থাকলেন আমাদের আহমেদ রুবেল। তার ফেলুদা এখনও দেখিনি। তবে পোস্টারে খুব বুড়ো মনে হয়েছে এই ফেলুদাকে। আশা করি, রুবেল হতাশ করবেন না। যদিও, লোকেমুখে শোনা কথা হল তিনি-সহ ফুল সেট-আপই নাকি যাচ্ছেতাই করেছেন।
তবে সবচেয়ে আশাবাদী আমি টোটাকে নিয়ে। সৌমিত্র, সব্যসাচীর পর নতুন একটা ফেলুদা ব্র্যান্ড তৈরী করতে পারে সে।
তবে বড় আফসোস, ইদানিং তোপসে বা জটায়ু একেবারে পাওয়া যাচ্ছে না। তোপসে হিসেবে পরমই সেরা ছিলো। আর জটায়ু বিভু বাবুর পর আর কাউকে নেওয়া যাচ্ছে না।
আরেকটু কথা যোগ না করলেই নয়। প্রফেসর শঙ্কু হিসেবে ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়কে দেখে আমি শিহরিত। এমনিতেই ভদ্রলোকের মধ্যে শঙ্কু ব্যাপারটা ষোলো আনা আছে। আর ট্রেলার বলছে, ছবিটাও দারুন হবে। এল ডোরাডো শঙ্কুর সেরা গল্পগুলোর একটা।
