নতুন মিস ওয়ার্ল্ড: কে এই মানুশি চিল্লার?
১৭ বছর আগের কথা। সর্বশেষ ভারতীয় হিসেবে মিস ওয়ার্ল্ডের খেতাব জিতেছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। এরপর এক লম্বা হতাশার অধ্যায়, অপেক্ষার অধ্যায় – এ সব কিছুর অবসান ঘটিয়ে মিস ওয়ার্ল্ডের খেতাব জিতে নিলেন ২০ বছর বয়সী ভারতীয় মানুশি চিল্লার।
চলুন এই চিলিং চিল্লারের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। চিল্লারের জন্ম এক উচ্চশিক্ষিত পরিবারে। বাবা-মা দু’জনই সমাজের গুণী ব্যক্তি। হরিয়ানায় ১৯৯৭ সালের ১৪ মে জন্ম হয় মানুশির।
গত জুনেই তিনি ফেমিনা মিস ইন্ডিয়ার খেতাব জয় করেন। ৫৪ তম টাইটেল হোল্ডার হিসেবে গিয়ে হারিয়ে দেন বাকি ২৯ জনকে।
ডাক্তার বাবা-মার সন্তান চিল্লার নিজেও মেডিকেল সেক্টরের সাথেই জড়িত। তিনি দিল্লীর সেন্ট থমাস স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন। এখন ভগত পুল সিং সরকারী মেডিকেল কলেজেই চিকিৎসা শাস্ত্রে পড়াশোনা করছেন।
চিল্লারের বাবা ডাক্তার মিত্র বসু চিল্লার। তিনি হলেন বিজ্ঞানী, কাজ করেন ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনে। মা ডাক্তার নিলম চিল্লার হলেন ইন্সটিটিউট অব হিউম্যান বিহেভিয়ার অ্যান্ড অ্যালাইড সাইন্সের সহযোগী অধ্যাপক, ও নিউরোকেমিস্ট্রি বিভাগের প্রধান। এমন বাবা-মা’র মেয়ে চিল্লারকে তাই পড়াশোনার ব্যাপারে সিরিয়াস না হয়ে কোনো উপায়ও নেই।
মিস ওয়ার্ল্ড কিন্তু খুব শিগগিরই মিসেস ওয়ার্ল্ড হতে চলেছেন। পারিবারিক বন্ধু ইশান্ত নায়ারের বাগদত্তা তিনি। দ্রুতই জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করে ফেলবেন।
চিল্লার হলেন সত্যিকার অর্থেই একজন অলরাউন্ডার। শুধু মেডিসিন নয়, প্যারাগ্লাইডিং, বাঞ্জি জাম্পিং, স্কুবা ডাইভিংয়েও তার বিশেষ পারদর্শীতা আছে। বোঝাই যাচ্ছে, মডেলিংয়ে না এসে অ্যাথলেটিক্সে গেলেও সুনাম কুড়াতেন চিল্লার।
তিনি ভারতীয় ক্লাসিকাল নৃত্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। রাজা ও রাধা রেড্ডির কাছে তিনি ‘কুচিপুড়ি’ নৃত্যে তালিম নিয়েছেন। ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামারও শিক্ষার্থী তিনি। অবসরে স্কেচিং ও পেইন্টিং করতে ভালবাসেন। তার জীবনের মন্ত্র হল – ‘স্বপ্ন দেখতে পারা মানেই হল বাঁচতে জানা।’
শুধু মডেলিং নয়, জনসেবামূলক কাজেও জড়িত চিল্লার। তিনি মেয়েদের স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারে উৎসাহ যোগাতে জনপ্রচারণায় নামেন। ক’দিন আগেই ‘শক্তি’ নামের একটি উদ্যোগ নেন, যার মূল কথা ছিল ‘বিউটি উইদ অ্যা পারপোস’।
এই উদ্যোগের আওতায় তিনি ২০ টি গ্রাম যান। এই উদ্যোগে গ্রামীন পরিবেশের প্রায় ৫০০০ নারীর জীবন পাল্টে গেছে। নি:সন্দেহেই বলা যায়, মাত্র ২০ বছর বয়সেই এই তরুণী বেশ অনুপ্রেরণাদায়ী!